প্রত্যেক সৎসঙ্গীরই এই ছয়টি নীতি অবশ্য-পালনীয়:
১) তুমি ইষ্টপ্রাণ, সেবাসন্ধিৎসু, ইষ্টপ্রতিষ্ঠাপর হইয়া তোমার পরিবার ও পারিপার্শ্বিককে ইষ্টানুগ যাজনে উৎফুল্ল করিয়া তুলিতে নিয়ত প্রয়াসশীল থাকিও।
২) অন্ততঃ একবার আহ্বানের সহিত সমবেত প্রার্থনা করিতে ভুলিও না। নিতান্ত অনিবার্য কারণ- যেমন শারীরিক অপটুতা ও প্রেষ্ঠনির্দেশী ঐ অবস্থায় অবশ্য করণীয় কর্ম ছাড়া-সমবেত প্রার্থনাকে অগ্রাহ্য না করিয়া, তাহাতে যোগ দিতে শ্রদ্ধাবনত যত্নশীল থাকিও-ই।
৩) অন্ততঃ দুইবার ব্যক্তিগত জীবন ও বৃদ্ধির সাধনাকে যাজন ও স্মরণ , মনন এবং প্রেষ্ঠকর্মাভিব্যক্তির ভিতর দিয়া অবশ্যই নিত্য-নৈমিত্তিক করিয়া তুলিও-ই।
৪) কল্যাণকর যাহা-কিছু যখনই মনে কর, তাহাকে কখনই নিরুদ্ধ না করিয়া তোমার কর্ম নিয়ন্ত্রণে অবিলম্বেই তাহার বাস্তব পরিণতি দিতে ততপর হইও-ই হইও।
৫) প্রতিমাসে অন্ততঃ একবার, কোন পবিত্র দিনে তোমাতে নির্ভরশীল প্রত্যেকটি সমর্থ পরিজন-সহ পূর্বাহ্ণে স্বল্প পরিমিত হবিষ্যাশী হইয়া বাকি দিনরাত্রি উপবাসী থাকিয়া একবেলার আহার্যানুপাতিক মূল্য প্রত্যেকের অন্ততঃ সোয়া এক আনা- তোমার ঈপ্সিত প্রিয়পরমের উৎফুল্ল সম্বর্ধনার সহিত তৎকর্মদীপ্ত হইয়া যাজন মুখরতায় সানন্দে তাঁহাতে উৎসর্গ করিও-ই। উপবাসের সময় ক্ষুধাতৃষ্ণা পাইলে জল, কচি ডাবের জল, আমলকীর রস ও হরিতকীর রস ছাড়া আর কিছুই আহার না করাই বিধেয়।
৬) প্রতি বৎসর ন্যায্য সামর্থ্য-সঙ্কুলান থাকিলে অন্ততঃপক্ষে একবার তোমার আদর্শ, ঈপ্সিত প্রিয়পরমের জন্মস্থানে সশরীরী নতজানু উৎফুল্ল অভিবাদন দিতে কিছুতেই তাচ্ছিল্য করিও না। ঐ বাস্তব নতি ও স্মরণ-মননোৎফুল্ল উপাসনাদীপ্ত কর্মপ্রেরণায় তোমার অবসাদ্গ্রস্ত সঞ্জীবনীধারা উন্নত স্ফুরণে উৎফুল্ল হইয়া দীপ্ত ও সম্বেগশালী পটুত্বে যতদূর সম্ভব বর্ধিত হইবেই হইবে।
"সাংসারিক জীবনে নিষ্ঠার সহিত উৎফুল্ল অন্তঃকরণে ভক্তি অবনত হইয়া এগুলি প্রতিপালন করিলে তুমি পরিবার পরিজনের সহিত নিয়তই ক্রমশঃ জীবন, যশ ও বৃদ্ধিতে যথোপযুক্তভাবে সমুন্নত হইতে থাকিবে- ইহা অতি নিশ্চিত।"
|